জিপ ফাইল কী? জিপ ফাইলের সুবিধা এবং এর অসুবিধা ৷ রিভিউ জোন বিডি

জিপ ফাইল কী জিপ ফাইলের সুবিধা এবং এর অসুবিধা 

 আপনারা অনেকেই এই ফাইল টিকে খুব সাধারণভাবে ব্যবহার করেন। কিন্তু এই ফাইলটি সুবিধা আছে অন্যান্য সব ফাইলের তুলনায়। এখন আমি আপনাদের জানাবো যে এই ফাইলটি আপনারা কিভাবে ব্যবহার করবেন। এর সঙ্গে জানিয়ে দিব এই ফাইলের কিছু অসুবিধা। আমরা জানি যে প্রত্যেকটা জিনিসের সুবিধা থাকলে তার অসুবিধা অবশ্যই আছে। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক। মনে রাখবেন যে এই আলোচনাটি আপনাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা।

জিপ ফাইল কি?

বন্ধুরা এই জিপ ফাইল হলো কম্পিউটারের সমস্ত ফাইল এর মত অন্যতম একটি ফাইল। যেটা আপনারা অন্যান্য সাধারণ ফাইল এর মত ব্যবহার করেছেন। এই জিপ ফাইলটিকে আমরা অনেকে ( Comprest File) নামে ব্যবহার করেছি।এছাড়াও আমরা বলতে পারি যে, জিপ ফাইল হল একটি সংরক্ষিত জায়গা । যেখানে আপনারা আপনাদের মূল্যবান ফাইলগুলো সংরক্ষিত করতে পারবেন। এই ফাইলগুলো জিপ করার মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়।জিপ করলে আপনার ফাইলগুলো ভাইরাস থেকে সংরক্ষিত থাকবে । অর্থাৎ আপনার ফাইলগুলো জিপ করা থাকলে বাইরে থেকে কোন ভাইরাস বা কোন অ্যান্টিভাইরাস আক্রমণ করতে পারবে না।

মনে করেন আপনার কোন কম্পিউটারের একটি ফাইল ১৫ মেগাবাইটের হয়ে থাকে তাহলে সেই ফাইলটি কে আপনি কম্প্রেসড করবেন বা জিপ করবেন তখন সেটির আকার ছোট হয়ে যায় বা (Size) ছোট হয়ে যাই। অর্থাৎ ফাইলটির সাইজ কম্প্রেসড হয়ে যাবে। আচ্ছা এতক্ষণ বললাম সাইজ নিয়ে এখন চলুন আরো কিছু বলা যাক এর সুবিধা গুলো।

জিপ ফাইলের সুবিধা :

আমরা যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকি তাদের জন্য এই জিপ ফাইলটি অনেক সুবিধা জনক। ধরুন আপনার কম্পিউটারে আপনার কয়েকটি ছোট ছোট গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছ। সেই ফাইল গুলোকে আপনি একটা ফোল্ডার আকারে রেখে দিয়েছেন । এখন আপনি ফোল্ডার টিকে (লক বা পাসওয়ার্ড) দিয়ে রাখতে পারছেন না অন্য কোন থার্ড পার্টি সফটওয়্যার এর সাহায্য ছাড়া। এই ক্ষেত্রে আপনি ফাইলটিকে জিপ করে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখতে পারবেন খুব সহজে। আপনি যখন আপনার সেই ছোট ছোট ফাইলগুলোকে জিপ ফাইল করে রাখবেন তখন খুব সহজেই সেই ফাইলগুলোকে আপনি পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখতে পারবেন। পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য অন্য কোন থার্ড পার্টি এর সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে না।

এছাড়াও জিপ এর আরো কিছু বেশ সুবিধা রয়েছে। যেমন:- ধরুন আপনি আপনার কোন বন্ধুকে কিছু ফাইল পাঠাবেন। এখন যদি আপনি ফাইলগুলো ইন্টারনেটে পাঠাতে চান। সেক্ষেত্রে আপনি এই ফাইলগুলো ইন্টারনেটে পাঠাতে পারবেন না। আপনাকে হয় সেই ফোল্ডারের ফাইলগুলোকে ছোট ছোট করে পাঠাতে হবে। কিন্তু এইভাবে পাঠাতে চাইলে আপনার সিরিয়ালগুলো অন্যরকম হয়ে যাবে অর্থাৎ উল্টাপাল্টা হয়ে যাবে। আবার কোন ফাইল বাদও পড়ে যেতে পারে। তো এই ক্ষেত্রে আপনারা এই জিপ ফাইলটি কে ব্যবহার করতে পারেন।। যখন আপনার কোন বন্ধুর কাছে অনেকগুলো ফাইল বা ছবি পাঠাতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনারা এই জিপ ফাইল ব্যবহার করে সঠিকভাবে পাঠাতে পারবেন। এই জিপ ফাইল ব্যবহার করলে আপনার একটা ফাইল কিংবা একটা ছবিও বাদ পড়বে না। যখনই কোন কিছু পাঠাতে চাইবেন তখনই এই জিপ ফাইলটি ব্যবহার করবেন।

এই ফাইলটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনারা সেই সকল ছোট ছোট ফাইলগুলোকে একটি ফোল্ডারের মাধ্যমে নিয়ে সঠিকভাবে সবগুলোকে পাঠাতে পারবেন। এর সাথে বাড়তি সুবিধা তো হয়ে থাকবে যে সব ছোট ছোট ফাইলগুলো একটি ফোল্ডারের মাধ্যমে ছোট হয়ে যাচ্ছে। এখন আপনারা চাইলেই আপনার আপনার বন্ধুর কাছে ফাইলগুলো একটি ছোট ফোল্ডার আকারে পাঠিয়ে দিতে পারবেন। আর আপনার বন্ধু এই ফাইল গুলোকে ঠিক একই ভাবে নামিয়ে আবার ডাউনলোড করে রাখতে পারবে। সম্পূর্ণ ফাইলগুলো সে নিরাপদ ভাবে পেয়ে যাবে।
এছাড়াও এই জিপ ফাইলে আরো কিছু সুবিধা রয়েছে।

আপনার সেই ফোল্ডারের ভিতরের ফাইল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। কারণ সরাসরি ভাবে কোন ফাইল ঢুকছে না। তাই আপনার ওই ফাইলে ভাইরাস হওয়ার সম্ভাবনা বা ভাইরাসে অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়াও আপনারা যদি জিমেইলে ( Gmail) কোন কিছু রাখতে চান। তাহলে সেটা একটা একটা করে রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনারা এই জীপ ব্যবহার করে সবগুলো ফাইলকে একটা ফোল্ডারে করে রাখতে পারবেন। এর ফলে যে ব্যক্তি আপনার এই ফোলডারটি ডাউনলোড করবে তার জন্য সুবিধা।ঠিক এরকমই নানান সুবিধা রয়েছে এই জিপ এ। তবে এই জিপ ফাইলের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে। চলুন এখন অসুবিধা নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক।

জিপ ফাইলের অসুবিধা

আমার জানি যে প্রত্যেকটা জিনিসেরই সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা রয়েছে । যেমন ধরুন আপনি ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করবেন, আপনি যদি একটি একটি করে ফাইল ডাউনলোড করেন তাহলে আপনি সব ফাইলগুলো দেখে দেখে ডাউনলোড করতে পারবেন।কিন্তু আপনি যখন একটি জিপ ফাইল নামাবেন তখন সেই জিপ এর ভেতরে মনে করেন যে ৫০ টি ফাইল আপনি ডাউনলোড করবেন । ডাউনলোড করতে করতে মনে করেন যে ৪৯ টা আপনি ডাউনলোড করেছেন বাকি একটা ডাউনলোড করতে পারেননি বা সম্পূর্ণ ডাউনলোড করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি বাকি ডাউনলোড করা ফাইল গুলো দেখতে পারবেন না। জিপ ফাইল ডাউনলোড করলে সম্পূর্ণ ফাইল ডাউনলোড হতে হবে নয়তো আপনি এটি দেখতে পারবেন না। জিপের এটি একটি অসুবিধা।

তো সুপ্রিয় বন্ধুরা আমাদের আলোচনার বিষয় আজকে এইটুকু পর্যন্ত। আশা করি আপনারা এই জিপ ফাইল সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা পেয়েছেন । জিপ ফাইল কি এবং কাকে বলে জিপ ফাইলের গুরুত্ব এবং এর সুবিধা এবং এর অসুবিধা, সবটুকুই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা এই আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পারলেন যে জিপ ফাইল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর সাথে বলা যাচ্ছে যে আপনার কম্পিউটারের সকল ছোট ছোট ফাইলগুলোকে আপনি একটি ফোল্ডারের মাধ্যমে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারবেন। যদি এর মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের পাশে থাকবেন । এই জীপ সংক্রান্ত আরো আলোচনা করা হবে। ঠিক আমাদের পরবর্তী আলোচনাতে।

বন্ধুরা এই ছিল আমাদের মূল আলোচনা ও প্রেক্ষাপট। আরো সকল নতুন নতুন আলোচনা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।।

Leave a Comment