মেট্রোরেল কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো।মেট্রোরেল সম্পর্কে সকল তথ্য। রিভিউ জোন বিডি

মেট্রোরেল কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলো।মেট্রোরেল সম্পর্কে সকল তথ্য।

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকের এই পোস্টটিতে আমি আপনাদের সাথে কথা বলবো মেট্রোরেল নিয়ে।

বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ গ্রামে থাকে।গ্রামে রেল লাইন আছে।ট্রেন চলাচল করে।কিন্তু আমাদের গ্রামের মানুষের মনে ওনেক প্রশ্ন জাগে।
আমরা ভাবি গ্রামেও ট্রেন আছে।শহরেও ট্রেন আছে।তাহলে টিভি, ইন্টারনেটে মেট্রোরেল বলে কেন?মেট্রোরেল কি? মেট্রোরেল এর সুবিধা কি?
মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য কত?মেট্রোরেলের ভাড়া কত?সহ নানা রকম প্রশ্ন আমাদের মনে জাগে।চলুন শুরু করা যাক-

মেট্রোরেল কি?

মেট্রোর মানে হচ্ছে শহর বা নগর বা মেট্রোপলিটন।আর রেল মানে হচ্ছে ট্রেন বা রেলগাড়ি।শহরের ভেতর দিয়ে কোন ট্রেন এক স্থান দিয়ে বারবার চলাচল
করে তখন তাকে মেট্রো রেল বলে।আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে শহরের ভেতর দিয়ে গনপরিবহনের জন্য দ্রুত গতি সম্পুন ট্রেনকে মেট্রোরেল বলে।মেট্রোরেল
অনেক গতি সম্পুণ হয়।মেট্রোরেল এর জন্য অনেক অপেক্ষা করা লাগে না।

মেট্রোরেল এর সুবিধাঃ

১।মেট্রোরেল শহরের পরিবেশ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
২।একসাথে অনেক মানুষ চলাচল করতে পারে।
৩।এই ট্রেনের জন্য বেশি অপেক্ষা করা লাগে না।
৪।কয়েক মিনিট পর পর এই ট্রেন আসে।
৫।ভাড়া কার্ড এ দেওয়া ্যায়।
৬।মেট্রোরেল কয়েক মিনিট পর পর আসায় শহরের মানুষ যানযট থেকে মুক্তি পেয়ে যায়।
৭।মেট্রোরেলে যাত্রীদের জন্য থাকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বযবস্থা।যা সাধারণ ট্রেনে থাকে না।

মেট্রোরেল এর অসুবিধাঃ

প্রত্যেক বস্তুর সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা রয়েছে।তেমনি এই মেট্রোরেল এর অসুবিধাও রয়েছে।তবে এর সুবিধার পরিমাণ বেশি।চলুন অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করা যাক-
১। কলকাতার মেট্রোরেল এর থেকে বাংলাদেশের মেট্রোরেলের ভাড়া দ্বিগুণ।
২।কলকাতার মেট্রোরেল এ ২ কিলোমিটার যাওয়া যায়৬ টাকা দিয়ে।আর বাংলাদেশের ঢাকার মেট্রোরেল এ ১০ টাকায় ২ কিলোমিটার যাওয়া যায়।তবে বাংলাদেশে ৪ টাকা
বেশি দিয়ে গেলেও তারা তারি যাওয়া যাচ্ছে এইটাই অনেক।
৩।ভারতের মোম্বাই এর ভাড়া সর্বনিম্ন ১০ টাকা। আর বাংলাদেশের ঢাকার মেট্রোরেল এর ভাড়া সর্বনিম্ন ২০ টাকা।
আমার মনে হয় এই অসুবিধা গুলা কোন অসুবিধাই না।এইগুলা অসুবিধার মধ্যে পরে না।

মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানঃ

প্রশ্নঃ মেট্রোরেল কিভাবে চলে?
উত্তরঃমেট্রোরেল মুলত বিদ্যুৎ দিয়ে চলে।এই ট্রেনে তেল, কয়লা কিছুই লাগে না। অর্থাৎ মেট্রোরেল বিদুৎ শক্তির সাহায্য চলে।

প্রশ্নঃ মেট্রোরেল চলতে কেমন বিদুৎ খরচ হয়?
উত্তরঃমেট্রোরেল ১ ঘন্টা চলাচল করার জন্য খরচ হয় ১৩.৪৭ মেগাওয়াট বিদুৎ।

প্রশ্নঃ মেট্রোরেল এর দৈর্ঘ্য?
উত্তরঃবাংলাদেশের ঢাকার মেট্রোরেল এমআরটি-৬ এর মোট দৈর্ঘ্য ২১.২৬ কিলোমিটার।

প্রশ্নঃ স্টেশন কয়টা ?
উত্তরঃমেট্রোরেল উত্তরা থেকে কমলা পুর পর্যন্ত এর মোট ১৭ টা স্টেশন রয়েছে।

প্রশ্নঃ মেট্রোরেল ঘন্টায় কত কিলোমিটার গতিতে চলাচল করে?
উত্তরঃমেট্রোরেল ঘন্টায় ১০০ মিলোমিটার গতিতে চলাচল করে।উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মোট ১৭ টা স্টেশন থেকে ৪০ মিনিট সময় নেয় এই মেট্রোরেল ।

প্রশ্নঃ প্রতিটা স্টেশনে কত মিনিট করে থামে এই মেট্রোরেল?
উত্তরঃ মেট্রোরেল প্রতি স্টেশনে ৩ মিনিট করে থেমে থাকে।

প্রশ্নঃ মেট্রোরেল উদ্বোধন হয় কত তারিখে?
উত্তরঃ২০১৬ সালের ২৬ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।

প্রশ্নঃ মেট্রোরেল কত তাখিখে জনসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হয়।
উত্তরঃ মেট্রোরেল ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ জনসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হয়।

প্রশ্নঃ মেট্রোরেলের ভাড়া কত?
উত্তরঃ মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা।

প্রশ্নঃ মেট্রোরেলের প্রথম নারী চালক কে?
উত্তরঃমেট্রোরেলের প্রথম নারী চালক হলেন মরিয়ম আফিজা।

প্রশ্নঃ মেট্রোরেল কোথায় থেকে কোথায় যাবে?
উত্তরঃ মেট্রোরেল উত্তরা থেকে কমলা পুর পর্যন্ত এর মোট ১৭ টা স্টেশন এ চলাচল করতেছে।

প্রশ্নঃ মেট্রোরেলের লোগোর ডিজাইনার কে?
উত্তরঃ মেট্রোরেলের লোগোর ডিজাইনার হলেন আলী আহসান নিশান।

প্রশ্নঃ মেট্রোরেলের প্রথম চালক কে?
উত্তরঃ মেট্রোরেলের প্রথম চালক মরিয়ম আফিজা ।

রিভিউ জোন বিডিতে আমরা জানলাম মেট্রোরেল কি এবং মেট্রোরেল এর সুবিধা ও মেট্রোরেল এর অসুবিধা এবং কিভাবে চলে সেই সম্পর্কে। মেট্রোরেল সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর দিবো ইনশাআল্লাহ।

Leave a Comment