হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন? বন্ধুরা কলা একটি দেশি ফল। আমরা কলাকে ফলের পাশাপাশি পাশাপাশি কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি। এছাড়া বন্ধুরা আমরা কলা দিয়ে নানা রকম রেসিপি তৈরি করে খেয়ে থাকি।
বন্ধুরা কলা সারা বছর পাওয়া যায় । কলা এমন একটি ফল যার পুষ্টিগুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। বন্ধুরা, কলা ছোট বড় সবাই খেতে পারে। কলা খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব কলা খাওয়ার উপকারিতা। কলার উপকারিতা ও অপকারিতা। খালি পেটে কলা খেলে কি হয়? এছাড়া বন্ধুরা কলা সকল পুষ্টি গুণগণ নিয়ে আলোচনা করব।
বন্ধুরা আপনারা চাইলে এই পোস্টগুলো পড়তে পারেনঃ
কলা খাওয়ার উপকারিতা
বন্ধুরা কলা একটি বারোমাসি ফল। এই ফলটি বছরের বারোমাস পাওয়া যায়। কলাতে অনেক পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে । ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হার কে শক্ত করতে সাহায্য করে। বন্ধুরা ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁতের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
বন্ধুরা নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ কলার সাহায্য করে আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেল কে কম করতে যার ফলে আমাদের শরীরের কোষগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না ।কলাতে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। যার ফলে আমাদের শরীরে রোগের সাথে লড়াই করতে কলা অনেক সাহায্য করে । এবং কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে কলার ভূমিকা
বন্ধুরা কলাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। যার ফলে আমাদের শরীরের মিনারেলের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে । এই পটাশিয়ামের সাহায্যে আমাদের শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যারা খেলাধুলার পাশাপাশি ব্যায়াম করেন। তাদের জন্য কলা একটি অনেক প্রয়োজনীয় ফল। যখন বন্ধুরা আপনারা ব্যায়াম বা খেলাধুলা করেন। তখন শরীর থেকে অনেক পরিমাণ ঘাম বেরিয়ে যায়। ঘামের মাধ্যমে খনিজ পদার্থ গুলো বের হয়ে যায় । বন্ধুরা আপনারা নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে কলাতে থাকা মিনারেল খনিজ পদার্থ পুনরায় আপনার শরীরে চলে আসে যার ফলে আপনার শরীরকে সতেজ করে তোলে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কলার ভূমিকা
বন্ধুরা আপনাদের মধ্যে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে । তাদের জন্য কলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল। বন্ধুরা কলাতে থাকা ফাইবার আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহযোগিতা করে। বন্ধুরা আপনাদের কষ্ট কাঠিন্য হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পাকা কলা নিয়মিত খাবেন।
ওজন কমাতে কলার ভূমিকা
বন্ধুরা আপনাদের যদি ওজন কম হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি কলা খেতে পারেন। কলায় থাকা ক্যালরির পরিমাণ অন্যান্য ফলের তুলনা অনেকটা বেশি। যার পারলে আপনার ওজন বৃদ্ধিতে কলা ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করবে।
আবার বন্ধুরা আপনাদের যদি পেটের সমস্যা হয়ে থাকে । সে ক্ষেত্রে আপনারা কাচ কলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সে ক্ষেত্রে বন্ধুরা আপনার পেটের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। তবে বন্ধুরা কাঁচকলা আবার কাঁচা খেয়ে না। রান্না করে খাবেন।
কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা কলা খাওয়ার উপকারিতা দেখলাম। বন্ধুরা সকল জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে। তেমনি কলা ও অনেক অপকারিতা রয়েছে। চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক কলা র কি কি অপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কলার উপকারিতা।
কলার অপকারিতা
বন্ধুরা রাতের বেলা কলা খাওয়ার থেকে বিরত থাকবেন। বন্ধুরা রাতের বেলা কলা খেলে অনিদ্রা সমস্যা হতে পারে। তাই রাতের বেলা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত ।
বন্ধুরা আপনাদের যদি ঠান্ডা লেগে থাকে অথবা জ্বর সর্দি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন ।কারণ বেশি পরিমাণ কলা খেলে আমাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পায়। বন্ধুরা শিশুদের ঠান্ডা সময় কলা খাওয়ার থেকে বিরত রাখা উচিত ।
বন্ধুরা আপনি যদি মোটা হয়ে থাকেন। অথবা আপনার ওজন যদি অনেক বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে কলা খাওয়ার থেকে বিরত থাকুন । বন্ধুরা কলা খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই বন্ধুরা আপনারা যদি ওজন কমাতে চান । সেক্ষেত্রে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
খালি পেটে কলা খেলে কি হয়
বন্ধুরা পাকা কলাতে অনেক পরিমাণ শর্করা থাকে। পাকা কলা খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। বন্ধুরা আপনারা যদি খালি পেটে কলা খেয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ক্লান্ত বোধ করবেন। আপনার ঘুম পেয়ে যাবে। তাই বন্ধুরা খালি পেটে কলা খাওয়া খেয়ে বিরত থাকা উচিত।
শেষ কথাঃ কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
বন্ধুরা আজকের পোস্টটি এখানে শেষ করছি।বন্ধুরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে আপনারা সকল প্রকার আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। এখানে আপনারা ইসলামিক, টেকনোলজি , বিভিন্ন জিনিসের দাম , কোন জিনিসটি ভালো হবে সহ সকল প্রকার আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। এমন মজাদার পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন।