জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা টিপস এন্ড ট্রিক

মেইল সার্ভারের ইমেইল নিরাপদ হলেও ইমেইল একাউন্টের সত্যিকারের নিরাপত্তা ব্যবহারকারীর ওপর নির্ভর করে। জিমেইল অ্যাকাউন্টgoolge একাউন্ট বিষয়।জিমেইল হচ্ছে গুগলের একটি সেবা। গুগলের বেশিরভাগ সেবা নিতে জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহৃত হয়। নিচে দেওয়া উপায় গুলো অনুসরণ করে  জিমেইল আইডি বা জিমেইল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা রক্ষা করতে পারবেন।

জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা টিপস এন্ড ট্রিক
                                  জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা টিপস এন্ড ট্রিক

কিভাবে ইমেইল একাউন্টের নিরাপত্তা রক্ষা করব?

gmail একাউন্টের নিরাপত্তা রক্ষার উল্লেখিত উপায় গুলোর নিচে বর্ণনা করা হলো। এই উপায় গুলো অনুসরণ করে আপনারা খুব সহজেই আপনার ইমেইল একাউন্ট কে নিরপদে রাখতে পারবেন।চলুন জেনে নেওয়া যাক

  • সিকিউরিটি চেক আপ
  • রিকভারি ইমেল ও ফোন নাম্বার যুক্ত করা
  • টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করা
  • শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা
  • আপডেটেড সফটওয়্যার জিমেইল ও গুগল এপ্স ব্যবহার করা
  • সন্দেহজনক মেসেজ ও কনটেন্ট থেকে বিরত থাকা
  • রিসেন্ট ডিভাইস অ্যাক্টিভিটিভ খেয়াল রাখা
  • কয়টি ডিভাইস লগইন আছে সেদিকে খেয়াল রাখা
  • কোন থার্ড পার্টি অ্যাপস বা ওয়েব সাইটে এক্সেস দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা

এই পোস্ট গুলা পড়তে পারেনঃ

সিকিউরিটি চেক আপ

Google account এর সিকিউরিটি চেকআপ পেজে জিমেল একাউন্ট এর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ইংরেজিতে প্রাইভেসি অ্যান্ড পলিসি বিষয়ক সকল অপশন রয়েছে।এজন্য প্রথমে জিমেইলে লগইন করতে হবে। তারপর জিমেইল পেজের ডান কর্নারে google অ্যাপস নামে একটি আইকন রয়েছে। এই আইকনে ক্লিক করলে একাউন্ট নামে একটি অ্যাপস পাওয়া যাবে।অ্যাপস এর উপর ক্লিক করলে গুগল একাউন্ট নামে একটি পেজ আসবে।এই পেজের protect your account অপশনে ক্লিক করলে Security Check পেজ আসবে।অথবা বাউজারের এড্রেস বারে (https://myaccount.google.com/security-checkup) টাইপ করে ইন্টার চাপ দিলে সাথে সাথে এই অপশনে চলে আসবে।

সিকিউরিটি চেকআপ পেজে গুগল একাউন্টের সিকিউরিটি সম্পর্কিত সকল তথ্য পাওয়া যাবে। নিম্নে এ সকল তথ্য উল্লেখ করা হলোঃ

  1. উক্ত গুগল একাউন্ট দিয়ে লগইন করা বর্তমান ডিভাইস সমূহ দেখা যাবে। তার সাথে ডিভাইস সমূহকে সাইন আউট করা যাবে।
  2. রিসেন্ট সিকিউরিটি এক্টিভিটি দেখা যাবে।কেউ যদি আপনার ইমেইল একাউন্ট লগইন করার চেষ্টা করে। সেটা এখানে শো করবে।
  3. টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করা যাবে আবার অফ করা যাবে।
  4. আপনার ইমেইলে সেভ রাখার সকল পাসওয়ার্ড দেখা যাবে। তার সাথে পাসওয়ার্ডগুলো রিমুভ করা যাবে।

রিকভারি ইমেল ও ফোন নাম্বার যুক্ত করা

জিমেইল আইডি বা গুগল একাউন্টের সাথে রিকভারি ইমেইল ও ফোন নাম্বার যোগ করা খুব জরুরী।রিকভারি ফোন নাম্বার ও ইমেইল এড্রেস অনেক কাজে আসতে পারে।ইমেইল ফোন নাম্বার যুক্ত করা থাকলে যা যা সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। তা নিচে বর্ণনা করা হলোঃ

  • নিজের অজান্তে কেউ নিজের ইমেইল অ্যাকাউন্ট লগ ইন করতে গেলে ব্লক করা যাবে।
  • নিজের অ্যাকাউন্ট কোনো সন্দেহজনক আক্টিভিটি সম্পর্কে এলাট পাওয়া যাবে।
  • জিমেইল একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে খুব সহজে রিকভারি করা যাবে।

টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করা

 কেউ যদি জিমেইল একাউন্টের পাসওয়ার্ড চুরি করে জেনে ফেলে । এক্ষেত্রে লগইন করার সময় মোবাইলে ফোন নাম্বারে একটি ওটিপি (একবার ব্যবহারযোগ্য পিন কোড) পাঠানো হয়। যা দিয়ে লগইন করতে হয়। টু স্টেপ ভেরিফিকেশনের পাশাপাশি google একাউন্টে আরো কিছু শক্তিশালী ভেরিফিকেশন রয়েছে। প্রথমটি হল google Prompt যা গুগল একাউন্টে লগইনের সময় ফোনে এলাট পাঠায়।আরেকটি হলো সিকিউরিটি কি? এটির মাধ্যমে ইমেইল একাউন্ট ভেরিফাই করা যায়।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা

জিমেইল একাউন্টে সিকিউরিটি সিস্টেম যত শক্তিশালী হোক না কেন, পাসওয়ার্ড যদি অনুমান করা যায় তবে অ্যাকাউন্ট নিয়ে নেওয়া সম্ভব । যেকোনো ধরনের একাউন্টে লগইন করার ক্ষেত্রে চাবি হিসেবে কাজ করে পাসওয়ার্ড।

সব সময় জিমেইলসহ যেকোনো অ্যাকাউন্ট এর জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে । একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এ যা যা থাকা প্রয়োজন। তা নিচে বর্ণনা করা হলোঃ

  • আট বা তার অধিক অক্ষর, যত বেশি বড়, তত ভালো হবে পাসওয়ার্ড
  • পাসওয়ার্ড এ অক্ষর,নাম্বার থাকবে।
  • ছোট হাতের অক্ষর ও বড় হাতের অক্ষর মিশ্রিত পাসওয়ার্ড হলে ভালো হয়।
  • অক্ষর আর সংখ্যার পাশাপাশি নানারকম সিম্বল ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড দিলে ভালো হয়।

নিজের নাম জন্মতারিখ, প্রিয়জনের নাম, ফোন নাম্বার ইত্যাদি পাসওয়ার্ড এ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অধিকাংশ সময় অসাধু মানুষ ভিক্টিমের ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে মিলে থাকা পাসওয়ার্ড অনুমান করা যায়। তা্রা বের করে ফেলে। পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময় পাসওয়ার্ড বক্স এর পাশের পাসওয়ার্ড কতটা নিরাপত্তা দেখা যায়।

আপডেটেড সফটওয়্যার জিমেইল ও গুগল এপ্স ব্যবহার করা

google account এর সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে google নিজেই সব সময় আপডেটের অপারেটিং সিস্টেম, বাউজার ও অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে।কেননা নতুন ভার্সনের সফটওয়্যার অ্যাপ বা অপারেটিং সিস্টেম লেটেস্ট সিকিউরিটি ফিশার যুক্ত থাকে যা জিমেইল একাউন্ট সহ সকল ডিভাইসের নিরাপত্তা বজায় রাখে।

সন্দেহজনক মেসেজ ও কনটেন্ট থেকে বিরত থাকা

যে ডিভাইসের gmail অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে সেটির নিরাপত্তাই যদি হুমকির মুখে থাকে। তবে জিমেইল একাউন্ট এর সিকিউরিটি উদ্ধার করে কোন লাভ হবে না।হাজার রকম মেলার বা ভাইরাসের কারণে ডিভাইস ও অ্যাকাউন্ট এর সিকিউরিটি ক্রটি হতে পারে।

এছাড়াও জিমেইল এর ইনবক্সে সবাই কমবেশি প্রতিদিন অপ্রয়োজনীয় email পাই । ইমেইল প্রেরণকারীর নাম আর ইমেল ঠিকানার মধ্যে যাচাই করে স্প্যাম ইমেইল খুঁজে বের করা যায়।ভাইরাস ও মেলোয়ার থেকে ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে অচেনা কোন লিংকে ক্লিক করা যাবে না।

কয়টি ডিভাইস লগইন আছে সেদিকে খেয়াল রাখা

একাউন্টে বর্তমানে কোন কোন ডিভাইস লগইন আছে।সেটা জানা ও মনিটর করা হলে একাউন্টে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।ডিভাইসে কয়টি লগইন আছে সেটা দেখার জন্য গুগল একাউন্টের ভেতরে গিয়ে এক্টিভিটি ডিভাইস এ ক্লিক করলে দেখা যাবে।  ডিভাইস গুলোর সাথে সাথে সাইন আউট করে দেওয়া ভালো।

কোন থার্ড পার্টি অ্যাপস বা ওয়েব সাইটে এক্সেস দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা

রেজিস্ট্রেশন ঝামেলা এরানোর জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপে আমরা sing in google লেখা দেখতে পাই। কিন্তু এই থার্ড পার্টি অ্যাপ গুলো জিমেইলের অনেকগুলো পারমিশন নিয়ে রাখে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লগইন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা অনেকে ভুলের বসে নানা রকম হচ্ছে লগইন করে থাকি। এ সকল ওয়েবসাইট গুলো প্রতারণার ফাঁদ।

আজকের মত এখানে শেষ করছি ।এমন শিক্ষনীয় আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।আপনাদের যদি প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

Share this content:

Leave a Reply